প্রান্তিক চাষী আমজাদ আলী, মানসিক প্রতিবন্ধী এক মা ও মমতাময়ী শেখ হাসিনার গল্প
প্রান্তিক চাষী আমজাদ আলী, মানসিক প্রতিবন্ধী এক মা ও মমতাময়ী শেখ হাসিনার গল্প
কতকিছু খুঁটিনাটি বিষয় তার চোখে পড়ে। সে সব দেখে-জেনে চুপ থাকেন না। নিজের মতো করে ব্যবস্থা নেন। জানান দিয়ে কিংবা পূর্ব ঘোষণা দিয়ে নয়, একদম চুপিসারে। অবশেষে যেদিন ঘটনাটি ঘটে তখনই জানা যায়, এতসব কিছুর পেছনের মানুষটি আর কেউ নন, তিনি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব যাকে আগেই দিয়েছে খেতাব ’মানবতার মা’।
সহায়তা দিয়েই যে ক্ষান্ত থাকেন, তা নয়। কাছে ডেকে নেন, কিংবা চলে যান কাছে। জড়িয়ে ধরেন পরম মমতায়। অনেক বিপন্ন মানুষের জীবনে এমন সৌভাগ্য এসেছে। করোনা মহামারির এই সময়েও তা থেমে নেই। তবে নিজে যেতে পারছেন না, কিংবা ডেকে আনতে পারছেন না। কিন্তু তার সহায়তা পৌঁছে যাচ্ছে সঠিক ঠিকানায়।
বুধবার (৭ অক্টোবর) তেমনই একটি দিন ছিলো ঝিনাইদহের মায়াধরপুর গ্রামের প্রান্তিক চাষী আমজাদ আলীর জীবনে। যিনি নিজেও মানবিকতার এক উদাহরণ তৈরি করেছেন এর আগেই। তারই পুরস্কার হিসেবে তিনি পেলেন আরও বড় পুরস্কার। তবে এই দিনটির কথা ভেবে নয়, কিংবা পুরস্কারের কথা ভেবে নয়, আমজাদ আলী যা করেছিলেন, সে ছিলো মানবিকতার প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা হিসেবে।
সে কাহিনী জানতে একটু পেছনে যেতে হবে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলাবাজারের ২২/২৩ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে তার শারীরিক অসুস্থতা এবং তার গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে মানবিক কারণে নিজের বাড়ি নিয়ে যান মায়াধরপুর গ্রামের প্রান্তিক চাষী আমজাদ আলী।
আমজাদ নিজেই গরীব মানুষ। মাঠে তার কোন চাষযোগ্য জমি নেই। সারাবছর অন্যের ক্ষেতে কাজ করে সংসার চালান। এক মেয়ে আর এক ছেলের মধ্যে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কিন্তু সে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ৬ মাস ধরে শয্যাশায়ী। ফলে এখন শুধু আমজাদের একার রোজগারে সংসার চালাতে হচ্ছে। নিজের অভাবের মধ্যেও তিনি অনন্য মানবিকতার পরিচয় সেদিন দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারেন। তখনই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গর্ভবতী প্রতিবন্ধী নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ অক্টোবর দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি । মা ও মেয়ে উভয়েই সুস্থ আছেন, সে খবরটিও নিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে তার মনে দাগ কেটেছে আমজাদ আলীর মানবিকতা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে আমজাদ আলীর ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে একটি মটর চালিত রিকশাভ্যান দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধী নারীটিকে করে দেওয়া হয়েছে 'প্রতিবন্ধী কার্ড'। এছাড়া প্রতিবন্ধী ঐ নারী এবং তার সদ্যপ্রসূত শিশু কন্যার দেখভালের জন্য নগদ ৫৫ হাজার টাকাও আমজাদ আলীকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয়
- নর্ড স্ট্রিম ২ কী? কেন এটি নিয়ে এত বিতর্ক? পর্ব ১
- বিশেষ সাক্ষাৎকার
`চিকিৎসা সম্ভব, সমাজে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ বলে কেউ থাকবে না` - চিড়িয়াখানায় অজগরের খাঁচায় জীবিত খরগোশ গুনছিলো মৃত্যুর ক্ষণ
- মগবাজারে বিস্ফোরণে অপরাজেয় বাংলার সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক আহত
- যশোরে মিঠা পানিতে নোনা ট্যাংরার বাণিজ্যিক চাষ
- ১৪১ বছরের পুরনো পাগলা গারদে পাগল হওয়ার দশা!
- পাহাড়ি জঙ্গলে এলাচের বন, সবুজ গুটিতে স্বপ্ন ভাসে ওমর শরীফের
- করোনায় দৃশ্যমান স্বেচ্ছাসেবার শক্তি
- মেয়েটি দেখতে ভীষণ সুন্দর ও মেধাবী, তবে ভারতীয়
কৈশোরেই ব্রিটেনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক বাঙালি নারীর গল্প - স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা সোনালী লাইফকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন উচ্চতায়: রাশেদ আমান